সাদুল্যাপুরের ধাপেরহাট পর্যন্ত হচ্ছে আঞ্চলিক মহাসড়ক News Desk

সাদুল্যাপুরের ধাপেরহাট পর্যন্ত হচ্ছে আঞ্চলিক মহাসড়ক


ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলা সদর থেকে সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, পাচপীর বাজার, চন্ডিপুর, গাইবান্ধার লক্ষিপুর বাজার হয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পর্যন্ত ৮০ কি.মি. আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মিত হবে। এর সাথে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর উপর তিস্তা সেতু নির্মিত হতে যাচ্ছে।
Image result for আঞ্চলিক মহাসড়ক
পাশাপাশি এলজিইডির অধীনে এর ব্যয় ধরা হয়ে ৭৩০ কোটি টাকা। গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইতোমধ্যে সৌদি দাতা সংস্থা এসএফডি এবং ওএফআইডি এর সঙ্গে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।
এ ছাড়া সেতুর ডিজাইন, পরিবিক্ষণ, তদারকি উপদেষ্টা ফার্ম নিয়োগ ও ঠিকাদার তালিকাভুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
গাইবান্ধা এলজিইডি কার্যালয় সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর এলাকায় তিস্তা নদীর উপর সেতু নির্মাণে আন্দোলন চলছে। এ দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার তিস্তা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়।
সুন্দরগঞ্জের চন্ডিপুর ইউনিয়নের হরিপুর থেকে চিলমারি উপজেলার জোরগাছ ইউনিয়নের রজবখালি এলাকা পর্যন্ত এই সেতু নির্মিত হবে। সেতুর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৪শ ৯০ মিটার (প্রায় দেড় কি.মি.) এবং প্রস্ত হবে সাত দশমিক ৩২ মিটার। জমি অধিগ্রহন ও আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণসহ সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩০ কোটি টাকা।
গত বছরের ১৬ মার্চ সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। ইতোমধ্যে সৌদি দাতা সংস্থা এসএফডি এবং ওএফআইডি এর সঙ্গে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। এ ছাড়া সেতুর ডিজাইন, পরিবিক্ষণ, তদারকি উপদেষ্টা ফার্ম নিয়োগ ও ঠিকাদার তালিকাভুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে সেতুর উভয়পাশে ৮০ কি.মি. আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মিত হবে। মহাসড়কের জন্য ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহন মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়। প্রস্তাবিত আঞ্চলিক মহাসড়কটি কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলা সদর থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, পাচপীর বাজার, চন্ডিপুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষিপুর বাজার হয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পর্যন্ত ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়কে মিলিত হবে। এটি নির্মিত হলে কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার দুরত্ব ৬০ কি.মি. কমে যাবে।
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুল আলম জানান, সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি নানা জটিলতায় বিলম্বিত হয়। এনিয়ে মানুষের মধ্যে হতাশা ছিল। কিন্তু এখন সেতু নির্মাণে আর কোনো বাঁধা নেই। তিনি বলেন, ডিজাইন উপদেষ্টা ফার্ম সেতুর ডিজাইন যাচাই-বাছাই করে দিলে দরপত্র আহবান করা হবে। এটি নির্মিত হলে কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার দুরত্ব ৬০ কি.মি. কমে যাবে। পাশাপাশি এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।

Post a Comment

0 Comments